Headline if Discussion : "
  • "হাদিস মানা কতটুকু জরুরি।"
  • "
    Headline in Engish : "
  • "How important it is to accept the hadith."
  • "

    বর্তমান সমাজে মুসলীমদের মধ্যে কিছু মুনাফিক গোষ্ঠির অবির্ভাব দেখা দিয়েছে। তাদের কাজ মুহাম্মদ (সা:) মুক্ত শির্ক মিশ্রিত ইসলামের অাদলে ধর্ম গঠন করা। তাদের কেও কুরঅান ও তার বাস্তব অনুষরণ নবী (সাঃ)এর হাদিস না মেনেই নিজেদের ইচ্ছা মতো ধর্ম গঠন করে নিজেদের একটা অবস্থান তৈরি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের কেও মুহাম্মদ (সা:) এর নামে বাজে মন্তব্য ও গালি গালাজ করে যাচ্ছে। তাই সকলের সচতনতার জন্য অামার এই লেখা। 

    #  লাহাদিসী ও অাহলে কিতাবের অনুষারিদের মধ্যে পার্থক্য ও বৈশিষ্ট: 

    * লাহাদিসী: তারা কোন রকম হাদিস মানতে নারাজ। 
    * অাহলে কিতাব: তারা কুরঅান ও কুরঅানের সমর্থনে হাদিস অনুষরণ করেন। 

    * লাহাদিসী: কুরঅানের শব্দ গুলোকেই কুরঅান বোঝার জন্য যথেষ্ট মনে করেন। 
    * অাহলে কিতাব: কুরঅানের শব্দ গুলোর সাথে রাসুলের জীবনিতে তার বাস্তব প্রয়োগের প্রেক্ষিতেই কুরঅান বুঝে থাকেন। 

    * লাহাদিসী: তারা সাধারণ মানুষের মতই রাসুল (সা:) কে গালি দিতে দিধা বোধ করেন না। 
    * অাহলে কিতাব: তারা নিজেদের চাইতে নবী (সা:) কে বেশি সন্মানিত মনে করেন তাই গালি দেয়ার প্রশ্নই অাসেনা। যেমন: আল-হুজরাত 49:2

    * লাহাদিসী: কুরঅান বোঝা এত সহজ নয় বলে মন্তব্য করেন। 
    * অাহলে কিতাব: কুরঅান বোঝার জন্য হাদিসকে সহায়ক মনে করেন ও এর মাধ্যমে যেকেও কুরঅান সহজে বুঝতে পারবে বলে মনে করেন। 

    * লাহাদিসী: কোন অায়াতের মূল বিষয়টা বোঝার জন্য কুরঅানের শব্দ গুলোই যথেষ্ট মনে করেন। নাজিলের হাদিস অনুযায়ি প্রেক্ষাপট তাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। 
    * অাহলে কিতাব: কোন অায়াতের মূল বিষয়টা বোঝার জন্য প্রেক্ষাপটটা জরুরি মনে করেন এবং হাদিসে বর্ণীত রাসুল (সা:) এর দেখানো বিষয়টাকেই মূল বিষয় হিসেবে গণ্য করেন। 

    * লাহাদিসী: অাল্লাহ কোন নির্দেশ কি কারণে দিলেন তা অাল্লাহ না বললেও তারা বুঝতে সক্ষম। যেমন তাদের যুক্তি: ওজুর সময় মাথা মাছেহ করতে হয় কারণ মহিলারা ও অারবের লোকেরা গরমের কারণে মাথায় কাপোড় দিয়ে রাখে তাই ধুলা বালি কম লাগে বলে মাথা মাছেহর নির্দেশ। তবে প্রশ্ন যদিকেও হাত ঢেকেরাখে তাহলে কি হাত মাছেহ করলে হবে? এমন প্রশ্নের জবাব তারাই ভালো জানেন।
    * অাহলে কিতাব: অাল্লাহ্ কোন নির্দেশ দিলে তা কোন যুক্তি ছাড়াই মেনে নেয়। অার এই নির্দেশের ফলে তাদের উপর কোন ভাবে এহছান করা হলে তার শুকরিয়া অাদায় করে। অার কোন যুক্তি ছারাই মেনেনেয়। যেমন: আন-নূর 24:51
    "মু’মিনদেরকে যখন তাদের মাঝে ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন মু’মিনদের জওয়াব তো এই হয় যে, তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর তারাই সফলকাম।"

    * লাহাদিসী:  তারা যুক্তি ছাড়া কিছু মানতে নারাজ। যেমন: মেরাজের ঘটনা, এত অল্প সময় সপ্তঅাসমানে ঘোরা কোন ভাবেই সম্ভব নয় তাদের মতে। 
    * অাহলে কিতাব: "বানু ইসরাঈল 17:1
    "পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।" এটাকেই মেরাজ হিসাবে মেনে নেয়। রাতের বেলা নিদর্শনাবলি দেখানো বলতে অাকাশ ভ্রমণ করানো যার সমর্থনে হাদিসে বিস্তারিত এসেছে। এখানে শুধু হিন্টস দেয়া হয়েছে। বর্তমান যুগে এই অায়াতের কারণে টাইম মেশিন অাবিষ্কারের নেশা বিজ্ঞানিদের ভেতর জেকে বসেছে। যার মাধ্যমে একটি স্থির সময়ের মধ্যে যুগ যুগান্তের পথ অতিক্রম করা যায়। 

    * লাহাদিসী: তারা কুরঅান হতে অাবিষ্কার করেছে নারীরা শুধু ব্রা ও পেন্টি পরে ঘুরতে পারবে তবে ব্রার উপরে একটি ওর্ণা দিতে হবে। কুরঅানে কোথাও সরাসরি হাটু, পেট ঢাকার কথা নাই তাই।
    * অাহলে কিতাব: তাদের মতে নারীরা স্বাভাবিক কাপোড় পরার পরও পুরো শরীর ঢাকার জন্য একটি অতিরিক্ত কাপোড় ব্যাবহার করবে এবং এর একটি অংশ দিয়ে মুখ ঢেকে রাখবে। যেমন: সুরা নূর-২৪/৩১, সুরা অাহযাব-৩৩:৫৯।

    * লাহাদিসী: নামায ২ ওয়াক্ত: ফজর ও এশা অাবার কারো মতে নামায ৩ ওয়াক্ত।
    * অাহলে কিতাব: নামায ৫ ওয়াক্ত। ফজর, যোহর, অাছর, মাগরিব ও এশা। 
    * লাহাদিসী: বর্তমান পৃথীবিতে যে অাজানের প্রচলন অাছে তা ভুল। কুরঅানে বলাহয়েছে নামাযের জন্য অাহব্বান করতে তাই যে কোন রকম ভাবে নামাযের জন্য ডাকলেই হবে। বর্তমানে যে অাজানের শব্দগুলো ব্যাবহার করা হয় তা নিয়ে তারা ঠাট্রা বিদ্রুপ করে।
    * অাহলে কিতাব: হাদিস অনুযায়ি বর্তমান যে অাজান দেয়া হয় তা ঠিকই অাছে। যেমন: আল-মা’ইদাহ 5:58
    তোমরা যখন সলাতের জন্য আহবান জানাও তখন তারা সেটিকে তামাশা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে। এটা এজন্য যে, তারা হল নির্বোধ সম্প্রদায়। 

    * লাহাদিসী: স্ত্রী সহবাসের ফলে গোছল না করলেও সমস্যা নেই শুধু উজু করেই নামায অাদায় করা যাবে।
    * অাহলে হাদিস: স্ত্রী সহবাসের ফলে গোছল ফরজ মনে করেন। 
    * লাহাদিস: কিছু লোক অইস্পষ্ট অায়াতের মুখরোচক সুন্দর সুন্দর ব্যাক্ষা দার করান যার জ্ঞান এখনও অাল্লাহ কাওকে দান করেননি তাই এমন অায়াতের ব্যাক্ষাও কোন হাদিসেও পাওয়া যায়না। অার অাল্লাহও এই অায়াত সমূহের গবেশনা অপছন্দ করেছেন। ঠিক তাদের মতই লাহাদিসেরা স্পষ্ট অায়াতের মধ্য হতে অস্পষ্ট অায়াতের ব্যাক্ষা বের করে থাকেন। যার কিছু অংশ ওন্য অায়াতের সাথে সাংঘর্শিক হলেও নিজেস্ব যুক্তি দিয়ে মিলিয়ে দেয়। যেমন উজুর সাথে পর্দার সম্পর্ক দেখান তারা। কুরঅানে বর্ণীত উজু করার ৪ টি স্থান সমূহকেই সাভাবিক সৌন্দর্য প্রকাশের অঙ্গ হিসেবে অাবিষ্কার করেছেন। যার ফলে নারীদেরকে মুখ খুলে চলতে উদ্ভুদ্ধ করে থাকেন। উজু করার কারণে হাতের কনুই পর্যন্ত, মুখ ও পায়ের টাকনু খোলা রাখা গেলেও। মাথাও কুরঅানে বর্ণিত উজুর স্থান গুলোর মধ্যে একটি। অথচ কুরঅানে স্পষ্ট মাথা ঢাকার কথা রয়েছে (সুরা নুর ২৪:৩১) এ।
    * অাহলে কিতাব: তারা স্পষ্ট অায়াতের ব্যাক্ষা স্পষ্ট অায়াত দিয়েই দিয়ে থাকেন। যদি কোন অায়াতের ব্যাক্ষা ওন্য অায়াতের কিছু অংশের সাথে সাংঘর্শিক হয় তবে তারা এটাকে ব্যাক্ষা হিসাবে গ্রহণ করেন না। যেমন: "আলি ‘ইমরান 3:7
    তিনিই তোমার উপর এমন কিতাব নাযিল করেছেন, যার কতিপয় আয়াত মৌলিক-সুস্পষ্ট অর্থবোধক, এগুলো হল কিতাবের মূল আর অন্যগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়; কিন্তু যাদের অন্তরে বক্রতা আছে, তারা গোলযোগ সৃষ্টির উদ্দেশে এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে উক্ত আয়াতগুলোর অনুসরণ করে যেগুলো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। মূলত: এর মর্ম আল্লাহ ছাড়া কেউই জানে না। যারা জ্ঞানে সুগভীর তারা বলে যে, আমরা তার উপর ঈমান এনেছি, এ সবকিছুই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে, মূলতঃ জ্ঞানবান ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই নসীহত গ্রহণ করে না।" 

    * লাহাদিস: এরা গবেশনা করে বের করেছেন নবী (সা:) তার পালক পুত্রের স্ত্রীর প্রেমে পরেছিলেন ও পরকিয়া করেছিলেন। আল-আহযাব 33:37
    * অাহলে কিতাব: পালক পুত্রের ব্যাপারে মানুষের মধ্যে কুধারণার অবশানের জন্য অাল্লাহ নবী (সা:) এর পালক পুত্র জায়েদের স্ত্রী জয়নবকে বিবহের ইঙ্গিত অনেক অাগে থেকেই দিচ্ছিলেন হিকমাতের ওহীর মাধ্যমে। এখানে পছন্দ বা পরোকিয়ার কোন স্থান নেই। 

    ### পূর্ব কথা: একটি ফশলি জমিতে ফশলের সাথে সাথে অাগাছাও হয়। কিন্তু কৃষক জমিতে ফশল রোপনের শুরুতে জমি চাষ দিয়েই খান্ত হয়না বরং চাড়া গজানোর পর অাগাছা পরিষ্কার করে, উপযুক্ত সময়ে সার ও কিটনাশক প্রয়োগ করে প্রাকৃতিক ভাবে পাওয়া বৃষ্টি ছাড়াও পানি শেচের ব্যাবস্থাও করে সর্বশেষ চারায় ফশল ধরলে ঈদুর ও পাখির হাত থেকে রক্ষার জন্য বিদ্যুৎ শক ও কাকতারোয়ার ব্যাবস্থাও করে থাকে। তার পর ফশল ঘড়ে তোলে। এরপরে চলে ফশলের গ্রেডিং। যার ফলে নিম্ন মানের থেকে ভালো মানের ফশল বেশি দামে বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করে। এখন দেখেন অাগাছা ও ফশলের গাছের মধ্যে কতটুকু উপকারি ও কতটুকু অপকারি: গাছ ও অাগাছা উভয়েই কার্বণডাইঅক্সাইড শোষণ করে অক্সিজেন ত্যাগকরে, উভয়টিরই ঔষধি গুণ ও খাদ্য চাহিদা অাছে, উভয়টির রং সবুজ অারো অনেক মিল রয়েছে তবে প্রশ্ন কেন অাগাছা দমণ করতে হবে? এমন প্রশ্নের উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছিনা। কারণ অামার এই লেখাটি বুদ্ধিমান দের জন্য। এমন প্রশ্নের উত্তর বুদ্ধিমানদের অজানা নয়। যারা নির্বোধ তাদের কথা ভিন্ন। ঠিক তেমনই ইসলাম ধর্মেও যুগেযুগে অাগাছার মত বারতি জিনিষের সমাগম ঘটেছে যা ইসলামের মূল গতিতে বাধার সৃষ্টি করেছে। ইসলাম হচ্ছে তাকওয়া বা বেছে বেছে চলার নাম। যার মাধ্যমে কাঙ্খিত শান্তি অর্জন সম্ভব। তাই ইসলামে এমন বারতি বিষয় গুলোকে বেছে ফেলার প্রয়োজনীয়তাও পরিলক্ষিত হয়। ইসলামে মূল কিতাব অাল কুরঅান যার সংরক্ষণ অাল্লাহ্ নিজেই নিয়েছেন তাই এটি চিরকাল অবিকৃত থাকবে যার ফলে এটি হচ্ছে সকল বাছাইএর মূল সুত্র। করঅানের সাথে সাংঘর্ষিক সকল নিয়ম কানুনই বাতিল বলে বিবেচিত হবে। ইসলাম ধর্মে নিয়ম কানুনের জন্য দুইটি কিতাব পাওয়া যায় ১-ম কুরঅান ও ২-য় হাদিস। কুরঅান সংরক্ষণের দ্বায়িত্ব অাল্লাহ্ নিলেও হাদিসের দ্বায়িত্ব নেননি। তাই হাদিসে ভুল তথ্য থাকাটাই স্বাভাবিক। কারণ যুগেযুগে কুরঅান ও হাদিসের উপর অাক্রমণ হয়েছে ইতিহাস থেকে পাওয়া যায়। তাই এখন জানব কুরঅান ও হাদিসের সঙ্গা, বৈশিষ্ট, সংরক্ষণ, অাক্রমণের ফলে বিকৃত অবস্থা ও বর্তমান অবস্থা।

    *** কুরঅান: কুরঅান অাল্লাহর বাণী। নবী করিম (সা:) এর উপর সরাসরি ফেরেস্তাদের মাধ্যমে এই বাণী অাল্লাহ্ পাঠিয়েছেন। কুরঅান ধাপে ধাপে ঘটনার প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছে। নাজিল হওয়া কালীন সময় কিছু খারাপ লোক নাবী (সা:) এর কাছ থেকে এক রকম শুনত তার থেকে দুরে যেয়ে অন্য রকম ভাবে বর্ণনা করত। যাতে নবী (সা:) এর সাহাবা বা সাথীরা দিধা দন্দে পরে নবী (সা:) এর কাছে এসে পুণরায় জিজ্ঞাসা করতেন অাপনি কি সত্যিই এমন বলেছেন? তখন ঐ লোককে নবীর (সা:) কাছে নিয়ে এলে সে বলত অামার সম্ভবত ভুল হয়েছে অথবা বুঝতে ভুল করেছি ক্ষমা করবেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তারা ইচ্ছা করেই এমন করত। তবে এমন ভুল গুলো সঙ্গে সঙ্গেই ঠিক হয়ে যেত নবী (সা:) এর বর্তমাণ থাকার কারণে। তবে কিছু কিছু সাহাবারা নবী (সা:) এর অাদেশে কুরঅানের অায়াত গুলোকে চামড়ায়, মটিতে, খেজুর পাতায়, হাড়ে ও গাছের বাকলে খোদাই করে লিখে রাখতেন। অার বাকীরা মুখস্থ করে রাখতেন। নবীর (সা:) সাহাবাদের মধ্যে এমন কিছু হাই ট্যালেন্টেড সাহাবা ছিলেন যারা ১ বার শুনে কেও ২ বার শুনে ও কেও ৩ বার শুনে একটি পেজ মুখস্থ করে রাখতে পারতেন। এমন সাহাবাদের মধ্য হতে কিছু সাহাবাদেরকে নবী (সা:) কুরঅানের হাফেজ করে গোরে তোলেন এবং তাদেরকে বিভিন্ন শহরে পাঠাতেন ওন্যদের শেখানোর জন্য। কিন্তু কেওই তখন ধারাবাহিক ভাবে কুরঅান লিখে রাখেন নি। অার তা লিখে রাখা সম্ভবও ছিলোনা কারণ কুরঅানের প্রতিটি সুরা এক সাথে নাজিল হয়নি। বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে এক একটি অায়াত নাজিল হয়েছে। পরবর্তীতে নবী (সা:) এর মাধ্যমে কোন অায়াত কোন ছুরার অংশ হবে তা অাল্লাহ্ জানিয়ে দিয়েছেন। নবী (সা:) এর ওফাতের পরে অাবু বকর (রা:) এর সময় ইয়ামামার যুদ্ধে অনেক হাপেজে কুরঅানের শাহাদাতের ফলে ওমর (রা:) এর জোরাজুরির কারণে অাবু বকর (রা:) ২ টি খন্ডে কুরঅানকে লিপিবদ্ধ করেন, হজরত জায়েদ (রা.) এর নেতৃত্বদেন। অাবু বকর (রা:) এর শাহাদাতের পরে ওমর (রা:) এর জামানায় অারবেব  বিভিন্ন অন্চলের ভাষার মানুষ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কুরঅান পাঠ করতে শুরু করে। ওমর (রা:) তখন কুরঅানের বাকী অংশ গুলো সংগ্রহ করতে থাকেন। ওমর (রা:) এর শাহাদাতের পরে বিভিন্ন শহরের কারিদের ভিন্ন ভিন্ন তেলাওয়াতের ফলে মুসলীম জাহানে মত বিরোধের মাত্রা বেরে যায়। এমন সময় কিছু গোষ্ঠি কুরঅানের ভুল ব্যাক্ষা দিতে শুরু করে। যেমন নবী (সা:) জীবিত থাকতে করেছিল। তাই অায়াতের মূল বিষয়ের তারতম্যের ফলে মুসলিম জাহানের ভেতর মতবিরোধের মাত্রা ভয়াবহ অাকার ধারণ করে। নিজেদের ইচ্ছামত তিলাওয়াত ও অর্থের অপব্যাক্ষার নিরসণের জন্য সাহাবারা ক্রমাগত সমস্যার সম্মুক্ষিণ হচ্ছিল যা খিলাফতের সাভাবিক কাজ কর্মকেও বাধাগ্রস্থ করছিল। এমন সমস্যার সমাধানের জন্য যারা নবী (সা:)কে খুব কাছ থেকে দেখেছে এবং দীর্ঘদিন ওঠাবসা করেছে এমন সাহাবীদের সাক্ষির মাধ্যমে সমাধান করা হত। এমন পরিস্থীতিতে ওসমান (রা:) কুরঅান সংকলনের উদ্দেশ্যে সাহাবাদের পরামর্শে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন তার মধ্যে ৪ জনকে প্রধান করেন। তাদের মূল নীতি অনুযায়ি অাবু বকর (রা:) এর কপিকে ভিক্তি করে এবং কোরাইশ ভাষাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি কুরঅানের কপি প্রস্তুত করেন। কিন্তু এমন সময় (সুরা অাহযাবের ৩৩:২৩) নং অায়াতটি কারো কাছে লিখিত পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু ওসমান (রা:) সহ কমেটির অনেকেই নবী (সা:) এর মুখে এই অায়াতটি শুনেছেন বলে দাবি করেন। অবশেষে খাজাইমা বিন সাবেত অানসারি (রা:) এর কাছে এটি লিখিত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপরে পুর্ণাঙ্গ একটি কপি প্রস্তুত করেন। অন্য দিকে ওসমান (রা:) তার বাহিনিকে নির্দেশ দেন সমস্ত প্রদেশ থেকে কুরঅানের লিখিত কপি গুলো ইচ্ছায় ও অনিচ্ছায় সকলের কাছ থেকে নিয়ে অাসার জন্য। এগুলো অানার পরে সব গুলো কপি তিনি পুরিয়ে দেন। কিন্তু ইবনে মাসউদ (রা:) এর কাছে থাকা কপি ওসমান (রা:) এর শোন্যরা জোর পুর্বক অানেন নাই মর্মে শোন্যরা ওসমানকে জানান। কারণ ইবনে মাসউদ (রা:) কে নবী (সা:) নিজে কুরঅানের একজন ভালো কারী হিসেবে অাক্ষা দিয়ে সম্মানিত করেছিলেন তাই। এই কারণে ওসমান (রা:) নিজেই জোর পুর্বক ইবনে মাসউদ (রা:) এর কাছে লিখিত কিছু ছুরার কপি ছিনিয়ে অানেন ও বিনষ্ট করেন। হজরত জায়েদ (রা.) ওসমান (রা:) এর এমন কোরাইশ ভাষার ১ কেরাত বিশিষ্ট কুরঅানের নীতির কারণে চিন্তা করেন পরবর্তিতে মুসলিম বিশ্বে মতবিরোধ তৈরি হতে পারে তাই তার কাছে রক্ষিত ৭ কেরাত বিশিষ্ট অাবু বকর (রা:) এর কপিটি মূল কুরঅানের অন্তরর্ভুক্ত করে অপর কপিটিও পুরিয়ে ফেলেন। তৈরি হয় এক ও অভিন্ন কুরঅানের কপি। এই কপি বিভিন্ন গভর্ণরের কাছে এক কপি করে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ভাবেই অবিকৃত অবস্থায় সংরক্ষিত হয় কুরঅান যা বর্তমান অাছে। অার এমন বিকৃত কুরঅান বিনষ্ট করার মত মহান কাজের কারণেই ওসমান (রা:) কে শাহাদাত বরণ করতে হয়। তবে বর্তমান যে প্রাচিন কুরঅানের কপিটি অাছে তা বিশেষজ্ঞদের মতে ওসমান (রা:) এর অামলের নাও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি নবী (সা:) এর ওফাতের ১৫০ বছরের মধ্যে লিখিত হবে তাতে সকল বিশেষজ্ঞই একমত। কারণ এই কুরঅানটি লিখার কাজে যে কালি ব্যাবহার করা হয়েছে তা পরিক্ষার পর দেখাযায় যে এমন কালির ব্যাবহার ওসমান (রা:) এর অামলে শুরু হয়নি ওসমান (রা:) এর পরবর্তী যুগে শুরু হয়েছে। তবে ইতিহাসের তথ্য মতে ওসমান (রা:) এর অামলে লেখা না হলেও এমন পুর্ণাঙ্গ কুরঅান সংকলন তার অামলেরই কির্তী বিশেষজ্ঞদের কাছে এতে কোন সন্দেহ নাই। হয়তো কালের বিবর্তনে ওসমান (রা:) এর অামলের নিম্ন মানের কালির কপি গুলো নষ্ট হতে থাকে যার ফলে নতুন উন্নত মানের কালি দিয়ে এই কপিটি লেখা হয়েছিলো পরবর্তী যুগে। অার উন্নত মানের নতুন কপি গুলো অাসার পরে পূর্বের কপি গুলো অবহেলায় হারিয়ে গেছে। এভাবেই অনেক চরাইউৎরাইয়ের ভেতর দিয়ে পারহয় নবী (সা:) এর ওফাতের পরবর্তী ১০০ বছর।

    এবার দেখি কুরঅান তার নিজের সংরক্ষণ সম্পর্কে কি বলছেঃ 

    # আল-বাকারাহ 2:2
    এটা ঐ (মহান) কিতাব যাতে কোন সন্দেহ নেই, মুত্তাকীদের জন্য পথ নির্দেশ। 
    # আল-বাকারাহ 2:23
    আমি আমার বান্দাহর প্রতি যা নাযিল করেছি তাতে তোমাদের কোন সন্দেহ থাকলে তোমরা তার মত কোন সূরা এনে দাও আর তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে আল্লাহ ছাড়া তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে আহবান কর। 
    # আল-বাকারাহ 2:79
    সুতরাং অভিসম্পাত তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং নিকৃষ্ট মূল্য লাভের জন্য বলে এটা আল্লাহর নিকট হতে, তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য তাদের শাস্তি অবধারিত এবং তারা যা উপার্জন করে তার জন্যও শাস্তি রয়েছে।

    ** প্রাপ্ত বিষয়: এই ৩টি অায়াতে দেখাযাচ্ছে নবী (সা:) এর সময়ও কিছু মিথ্যা কিতাবের দাবিদার ছিল। তারা নিজে হাতে অায়াত লিখে দাবী করত এটা অাল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই অাল্লাহ ও তাদেরকে চ্যালেন্জ দিয়ে বলেছেন নবী (সা:) এর কিতাবের সাথে তাদের লেখা কিতাবের সত্যতার, বিজ্ঞানের, কবিতার ছন্দের ও শব্দের ব্যাপারে। কুরঅান নাজীলের পর যারা নবী (সা:) কে পাগল মিথ্যুক বলে গালি দিচ্ছিল তাদেকে অাল্লাহ্ নিশ্চিত করলেন যে নবী (সা:) এর পক্ষে কুরঅানে ইচ্ছামত কিছু প্রবেশের খমতাও নেই বলার খমতাও নেই। এবং বিদ্রুপ কারিদেরকেও চ্যালেন্জ দিয়ে বলা হয়েছে কুরঅানের অনুরুপ ১ টি সূরা বানিয়ে নিয়ে অাসার জন্য। কারণ ততকালিন সময় কবিদের কদর বেশ ছিল। অার মাক্কি সুরাগুলো সত্য ও কবিতার ছন্দে ও উন্নত মানের নতুন শব্দের প্রয়োগ ছিলো যা ততকালিন সময় কবিদের কেও এর চ্যালেন্জ গ্রহণ করার মত ছিলোনা। এমন কিছু শব্দের প্রয়োগ ছিল যা অারবরা শুনে অাশ্চার্য হত কিন্তু তা ছিল শ্রুতি মধুর ও বাস্তব বিজ্ঞান সম্মত। যেমন রব ও রহমান শব্দটি শুনে সবাই বিশ্ব্যয় প্রকাশ করেছিল। সালাত শব্দটি একই রকম ছিল, জালাবি বা ঘেরাও পোশাক ইত্যাদি শব্দগুলো একই রকম ছিল। যা ইতিহাস ও হাদিস হতে জানা যায়। অাবার তখনকার জ্যোতিশিরা ধারণা করত সূর্য পৃথীবির চারিদিকে ঘোরে ও পৃথীবি একটি সমতল ও উচুনিচ ভূমি। কিন্তু কুরঅান বলল চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র ও পৃথীবি সবাই তার অাপন কক্ষ পথে ঘুরছে। এমন সত্য কথা কার দ্বারা বলা সম্ভব। এমন অাশ্চার্য ও বিজ্ঞানময় কথা তারা অাগে কখনও শোনেনি। তারকারাজির পতিত বা ধ্বংশ হওয়ার স্থান এবং এটার বিশালত্যের বর্ণনা শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছিল তখনকার অাকাশ কুশুম চিন্তা করা পন্ডিত ও কবিরা। যাকে অামাদের বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছে ব্লাকহোল (ওয়াকিয়া-৫৬/৭৫,৭৬)। এমন বিজ্ঞানময় কথা তারা কখনও চিন্তাও করতে পরেনি। তার পরও কিছু লোক কুরঅানের ডুবলিকেট কপি তৈরি করে অাল্লাহর বাণী হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু কুরঅানের গুণগত মানের সাথে টিকতে পারেনি।

    # আল-আন‘আম 6:7
    আমি যদি তোমার উপর কাগজে লেখা কিতাব নাযিল করতাম আর তা তারা তাদের হাতে স্পর্শ করত, তাহলে অবিশ্বাসীরা অবশ্যই বলত এটা স্পষ্ট  যাদু  ছাড়া  আর  কিছু  না। 
    # আল-আন‘আম 6:93
    তার থেকে বড় যালিম আর কে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে কথা রচনা করে অথবা বলে, আমার প্রতি ওয়াহী নাযিল হয়; যদিও তার কাছে কিছুই অবতীর্ণ হয় না। আর যে বলে : আল্লাহ যা নাযিল করেন আমি শীঘ্রই তার অনুরূপ নাযিল করব। হায়! যদি তুমি ঐ যালিমদেরকে দেখতে পেতে যখন তারা মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকবে, আর ফেরেশতারা হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলবে, তোমাদের জানগুলোকে বের করে দাও, আজ তোমাদেরকে অবমাননাকর আযাব দেয়া হবে যেহেতু তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলতে যা প্রকৃত সত্য নয় আর তাঁর নিদর্শনগুলোর ব্যাপারে ঔদ্ধত্য প্রদর্শন করতে। 

    # আল-হিজ্‌র 15:9
    নিশ্চয় আমিই কুরআন নাযিল করেছি আর অবশ্যই আমি তার সংরক্ষক। 

    ** অালোচনাঃ পূর্বের অালোচনা হতে অামরা জেনেছি কুরঅান সংরক্ষণের জন্য অাল্লাহ্ ৩-টি পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। যার ২ টা পৃথিবীতে অার ১-টি পৃথিবীতে নয়। তবে পৃথিবীতে মানুষের মাধ্যমে যে ২টি পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে তা কুরঅান ব্যাতিত অারো অনেক অাসমানি গ্রন্থ  এবং মানুষের মাধ্যমে রচিত গ্রন্থের ক্ষেত্রেও গ্রহণ করা হয়েছে অসংখ বার। কিন্তু তা এমন সংরক্ষণের দরুণ অবিকৃত অবস্থায় স্থায়িত্ব খুব কম সময়ের জন্যই বিদ্যমান থেকেছে, কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে এবং তা অবিকৃত অবস্থায় বিশ্বব্যাপি সমাদৃত ও বিস্তৃতীও পায়নি। কিন্তু কুরঅান এদের সম্পুর্ণ বিপরীত। কুরঅানের উপর বিকৃতি করার সরযন্ত্র কোন কালেই সফল হয়নি যেমনটা ওন্যান্য গ্রন্থের ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। তবে অনেকে বলে থাকেন সমাজে তো এখনও ২৬ টা কুরঅানের কপি অাছে যা একে অপরের থেকে ভিন্ন যা সরযন্ত্রকারীরা করতে সফক হয়েছে এবং তা বাজারেও ছেরে দিয়েছে, তাহলে অাল্লাহ কি সংরক্ষণ করলো? এদের জন্য একটি উদাহরণ পেশ করবো। অামাদের সমাজে টাকার পাশাপাশি জাল টাকাও অাছে। জালটাকা ছাপানো হলেও এবং তা বাজারে ছাড়লেও এক পর্যায়ে তা ধরাপরে যায় বাজেয়াপ্ত করা হয়। এথেকে সমাজে সৎ ও অসৎ লোকও অালাদা হয়ে যায়। কুরঅানও একই রকমভাবে মানুবজাতীর মধ্যে ভালো মন্দ মানুষের পার্থক্য করে দেয়। অনেকে অনেক অলিক কল্পনার রাজ্যে নিজেদেরকে ভাসিয়ে থাকেন, তারা মনে করেন কুরঅান রচনার সময়ই তা কেও ভুল ছাপতে পরার কথা নয়। ছাপার সময় হয়তো ভুল লেখা গুলো অাপনা অাপনি ভ্যানিশ হয়ে যাবে অথবা যারা ছাপাবে তারা বিকলাঙ্গ হয়ে যাবে অথবা মারা যাবে যার ফলে কুরঅানের ভুয়া কপি ছাপানো সম্ভব হবে না। অাসলে এমনটা নায়। এমন চিন্তা দুর্বল ঈমানের পরিচয়ই বহন করবে। কারণ ঈমান অানার পরে এমন অলোউকিক ঘটনার কোন ভেলু থাকে না। যারা এমন কিছু দেখতে চায় তারা ঈমানদার নয় অবিশ্বাসী। নবী (সাঃ) এর জীবদয়ায় চঁন্দ্রবিদির্ণের মত এমন অলোউকিক ঘটনা দেখেও অবিশ্বাসীরা ঈমান অানে নাই। বরং ঈমান এনেছিলো তারাই যারা বুদ্ধি সম্পন্ন। তাদের কাছে এমন অলোউকিক ঘটনা দেখানোর কোন দরকার হয়নি। অার মনে রাখতে হয়ে কুরঅান নিজেও বলছে সে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারি। অর্থাৎ পরিক্ষার বিষয়। এর মাধ্যমে কুরঅান বিকৃতি কারীদের মুখউম্মচন হবে, সত্যে ও অসত্যের পথিক অালাদা ভাবে চিহ্নিত হয়ে যাবে। কিন্তু কুরঅানের বিকৃতি কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। এমন বিকৃত কুরঅান এক পর্যায়ে কুরঅানের ধারক ও বাহকদের কাছে ধরা পরেই যাবে টাকা সনাক্তকারি মেশিনের মতো। 

    # ফুসসিলাত (হা-মীম সিজদাহ) 41:42
    মিথ্যা এর কাছে না এর সামনে দিয়ে আসতে পারে, না এর পিছন দিয়ে। এটা অবতীর্ণ হয়েছে মহাজ্ঞানী, সকল প্রশংসার যোগ্য (আল্লাহ)’র পক্ষ হতে। 

    # আল-হাক্ক়াহ 69:43
    এটা বিশ্ব জগতের প্রতিপালকের নিকট থেকে অবতীর্ণ
    # আল-হাক্ক়াহ 69:44
    নবী যদি কোন কথা নিজে রচনা করে আমার নামে চালিয়ে দিত, 
    # আল-হাক্ক়াহ 69:45
    আমি অবশ্যই তার ডান হাত ধরে তাকে পাকড়াও করতাম, 
    # আল-হাক্ক়াহ 69:46
    তারপর অবশ্যই কেটে দিতাম তার হৃৎপিন্ডের শিরা, 
    # আল-হাক্ক়াহ 69:47
    অতঃপর তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, (আমার গোস্বা থেকে তাকে রক্ষা করার জন্য) বাধা সৃষ্টি করতে পারে। 

    # আয-যুখরুফ 43:3
    আমি ওটাকে করেছি আরবী ভাষার কুরআন যাতে তোমরা বুঝতে পারো। 
    # আয-যুখরুফ 43:4
    আমার কাছে তা উম্মুল কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) সংরক্ষিত আছে, আর তা হল অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন জ্ঞান-বিজ্ঞানে পূর্ণ। 

    # ফুসসিলাত (হা-মীম সিজদাহ) 41:40
    যারা আমার আয়াতসমূহের অর্থকে ভিন্নপথে পরিচালিত করে, তারা আমার থেকে লুক্কায়িত নয়। যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে সেই উত্তম না ঐ ব্যক্তি যে ক্বিয়ামতের দিন সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে হাজির হবে? তোমাদের যা ইচ্ছে হয় করতে থাক। তোমরা যা কর তা তিনি (খুব ভালভাবেই) দেখেন। 

    # আল-ওয়াক়িয়া 56:77
    অবশ্যই তা সম্মানিত কুরআন, 
    # আল-ওয়াক় 56:78
    (যা লিখিত আছে) সুরক্ষিত কিতাবে,
    # আল-ওয়াক়িয়া 56:79
    পূত-পবিত্র (ফেরেশতা) ছাড়া অপবিত্র (শয়ত্বানেরা) তা স্পর্শ করতে পারে না,

    # আল-ক়ামার 54:17
    আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণ করার কেউ আছে কি? 
    # আল-ক়ামার 54:22
    আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি? 
    # আল-ক়ামার 54:32
    আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য, উপদেশ গ্রহণের কেউ আছে কি? 

    # আল-কিয়ামাহ 75:16
    তুমি তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিভ নাড়াবে না। 
    (এ সূরা অবতীর্ণ হওয়ার সময় আল্লাহর রসূল তা মুখস্থ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে আল্লাহ অভয় দিয়ে বললেন) 
    # আল-কিয়ামাহ 75:17
    তা মুখস্ত ও পড়ানোর দায়িত্ব আমারই। 
    # আল-কিয়ামাহ 75:18
    কাজেই আমি যখন তা পাঠ করি, তখন তুমি সে পাঠ মনোজোগ দিয়ে শুনবে। 
    # আল-কিয়ামাহ 75:19
    অতঃপর তার (ওয়াহীয়ে খফী