Headline if Discussion : "
  • হাদিস মানা কতটুকু জরুরি।" ২-য় অালোচনা:
  • "
    Headline in Engish : "
  • How important it is to accept the hadith. "2nd discussion:
  • "

    # আল-হিজ্‌র 15:11
    তাদের কাছে এমন কোন রসূল আসেনি যাকে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করেনি।

    # বানু ইসরাঈল 17:39
    এসব সেই হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত যা তোমার প্রতিপালক তোমার প্রতি ওয়াহী করেছেন। আল্লাহর সঙ্গে অপর কোন ইলাহ স্থির করো না, করলে তুমি নিন্দিত ও যাবতীয় কল্যাণ বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। 

    ** নাজিলের প্রেক্ষাপট ও প্রাপ্ত বিষয়: এখানে নবী (সা:) কে কিছুটা শাসানো হয়েছে বলে মনে হয়। এই অায়াতের অাগের অায়াত গুলোতে কিছু নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই নির্দেশ গুলোকে নবীর প্রতি অাল্লাহর দেয়া হিকমতের ওহীর অন্তর্ভুক্ত বলে নবীকে জানানো হয়েছ। কিতাবের স্পষ্ট ওহীর মাধ্যমে নব (সা:) কে সহ সকলকে জানিয়ে দেয়া হল। কুরঅান নাজিলের শুরুতে নবী (সা:) নিজেও বুঝতে পারছিলেন না যে তার সঙ্গে কি যাচ্ছে। তিনি জীবরাইলের অাগমনে ভীত সন্তস্ত্র হয়ে পরে ছিলেন। ওন্য দিকে তার অন্তরকে এই কাজের উপযুক্ত করে তৈরি করার জন্য এবং এমন অলৌকিক ঘটনাকে মেনে নেয়ার জন্য তার অন্তরে অাসা অাল্লাহর সরাসরি ও গোপন নির্দেশ ও প্রজ্ঞা তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। খাদিজা (রা:) এর চাচাত ভাইয়ের নিশ্চিত ভবিৎস বাণী একের পর এক সত্য প্রমাণীত হচ্ছিল। অাবার জিবরাইল (অা:) এর প্রকাশ্য উপস্থিতি দেখে তিনি সন্দিহানে পরে যান। এক পর্যায়ে কিতাবের সঠিক ও সত্য তথ্য গুলো তার অন্তরে স্থান করে নেয়। অন্যদিকে এই কিতাব প্রচারের ততকালীন যুগোপযোগী পদ্ধতি গুলো তিনি তার অন্ততরের ভেতর থেকে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারছিলেন ঐশ্বরিক নির্দেশের মাধ্যমে। যেমন: শুরুতে তিনি গোপনে দাওয়াত দিতেন, তার পরে লোকজনদেরকে নিজগৃহে অাপ্যায়নের মাধ্যমে দাওয়াত দেয়া, খাবার শেষে দাওয়াত পেশ করার চাইতে খাবার শুরুতে দ্বীনের দাওয়াত পেশ করার কার্যকর হিকমাহ বা প্রজ্ঞা, কোন বিষয়ের উপাস্থিত সমাধান, দুই পক্ষের উদ্ভুদ্ধ সমস্যার সমাধান, যেমন কারো ক্ষেতের ফসল ওন্য কারো গবাদিপশুতে খেয়ে ফেলেছে তার এম সমাধান তিনি করে দিতেন যা উভয় পক্ষই তৃপ্তি সহকারে মেন নিতেন কিন্তু এমন সমাধান তখনকার কোন নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তির চিন্তায়ও অাসতো না। অার এটা তিনি খুব ভালো করেই বুঝছিলেন এই প্রজ্ঞা তার অন্তরে অাল্লাহই দিচ্ছেন। অাল্লাহ নিজেও এর প্রমাণ কুরঅানে দিয়েছেন যেমন: (আল-ফুরক়ান 25:33) তোমার কাছে তারা এমন কোন সমস্যাই নিয়ে আসে না যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি। 
    তাই তিনি এমন নিদর্শনের বাস্তব রুপ বিচার করে জিবরাইলকেও অাসতে অাসতে মেনে নেন। এমনই এক প্রেক্ষাপটে কিছু নির্দেশের ও নিয়ম কানুনের পরে অাল্লাহ এই অায়াতটি নাজীল করেন। যাতে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয় জিবরাইলের মাধ্যমে অাসা এই কিতাবের নির্দেশ গুলোও ঐ হিকমাহের অন্তর ভুক্ত যা জিবরাইল ছারাই তার অন্তরে অাসে যা ওন্য কেও জানেনা। কিতাবের ওহী ও হিকমত দুটোকে অালাদা করে দেখানো হয়েছে এই অায়াতে। তবে একটি ওন্যটির পরিপুরক বিষয় বা একই রকম বিষয়। অাল্লাহর দেয়া হিকমাহ পৃথিবীতে বিভিন্ন সৃষ্টির উপর একই রকম। ফেরেস্তাদের উপর এক রকম, মানুষের উপরও একই রকম অাবার গাছপালা, নদ নদী ও পশু পাখির উপর একই রকম হিকমতের ওহি নাজিল হয়ে থাকে। যে হিকমাহ মান্য করা সবার জন্য বাধ্যতা মূলক। এটিও অাল্লাহর কিতাবের ওহির মতই একটি নির্দেশ। যা কোন মাধ্যম ছারাই সৃষ্টির কাছে অাসে। অার এটি ওন্যান্য নবী ও রাসূল গণের মত নব (সা:) এর একটি মোজেজা। যা দেখে পূর্বের নবী রাসূলগণকে সকলে বুঝতে পারতেন যে তারা অাল্লাহর প্রেরিত। যেমন: অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগ চোখের সামনে ভালো করা ও মাটির পুতলে ফু দিয়ে জিবন্ত প্রাণীতে পরিণত করতে পারতেন ঈসা (অা:), মুসা (অা:) এর অাশ্চর্য লাঠি ইত্যাদি। তবে তাদের বিদায়ের সাথে সাথে সময়ের ব্যাবধানে মানুষ অার কোন ঐশ্বরিক অাশ্চার্য বিষয় না দেখতে পেয়ে তাদের দেখানো পথ থেকে মানুষ গাফেল হওয়ার পর পরই অাবার কোন নবী প্রেরণ করতেন যুগের প্রমাণ ও সাক্ষি হিসেবে। যার ফলে অাবার পুনরোজ্জীবিত হত অাল্লাহর দ্বীন। কিন্তু মুহাম্মদ (সা:) এর পরে কোন নবী অাসবে না বিধায় হয়ত অাল্লাহ নবী (সা:) কে এমন একটি অালাদা মোজেজা দিয়েছেন যা অনুষরণ করলে অার নবীদের প্রয়োজন হবে না। সকল সমস্যার সমাধান এই হিকমাহের ওহীর (হাদিসের) মাধ্যমে ও কিতাবের ওহীর সমন্বয়ে সমাধান করা সম্ভব হবে। ওন্যথায় শুধু কিতাবের ওহী কুরঅানের মাধ্যমে মানুষ নবী (সা:) এর অনুপস্থিতির কারণে পূর্বের ন্যায় মত বিরোধের ফলে কাফির, মুশরিক ও মুনাফিকে পরিণত হবে। যার বাস্তব রুপ এই অালোচনাতেও তুলে ধরা হয়েছে। কিতাবের ওহীর ও হিকমতের ওহীর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য বিদ্যমান। কিতাবের ওহী সকলের জন্য মান্যকরা বাধ্যতামূলক অার হিকমাহ এর ওহী সৃষ্টির বিচার বিবেচনা ভালোলাগা না লাগার অধিকার অাছে। অর্থাৎ বাস্তবায়নে শৈথিল্য প্রদর্শন করতে পারে। হিকমতের ওহী গুলোর খুব কঠোর নির্দেশ গুলোর ব্যাপারে অাল্লাহর অনুমতিক্রমে সৃষ্টিকুল সিথিলতা দেখানোর অধিকরা রাখে। কোন কোন ক্ষেত্রে অাল্লাহ নিজেও চান না তার এই নির্দেশের পূর্ণ বাস্তবায়ন হোক। কারণ এর মাধ্যমে অাল্লাহ বান্দার প্রকৃত মনের অবস্থা যাচাই করা ও জাহির করার জন্যই দিয়ে থাকেন। ওহী অর্থাৎ গায়েব থেকে অাসা বাণী, অার হিকমাহ অর্থাৎ বিচার, বিবেচনা, যুক্তি ও বুদ্ধির মাধ্যমে সম্পন্ন করা। তাই বলাযায় এটি এমন একটি ওহী যা বিচার বিবেচনার দাবী রাখে। তবে এই ওহীর হিকমাহ শুধুই অাল্লাহর বাছাইকরা সৃষ্টি বা বান্দাদেরকেই দিয়ে থাকেন। যারা সর্বদা অাল্লাহর নেক বান্দাদের মধ্যেই শামীল থাকেন। তবে জরবস্তুর মাঝে এই হিকমতের ওহী গুলো মানুষ ও ফেরেস্তাদের কিতাবের ওহীর মতই অলঙ্ঘণীয় বিধান হিসেবেই হয়ে থাকে। যার প্রমাণ এই ছুরার কিছু পরের অায়াত বানু ইসরাঈল 17:44
    সাত আসমান, যমীন আর এগুলোর মাঝে যা আছে সব কিছুই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। এমন কোন জিনিসই নেই যা তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তোমরা বুঝতে পার না কীভাবে তারা তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরম সহিষ্ণু, বড়ই ক্ষমাপরায়ণ।"

    অতএব সাত আসমান ও যমীন আর এগুলোর মাঝে যা আছে সব কিছুর মাঝেই অাল্লাহর হিকমতের ওহী নাজিল হয়। যার মাধ্যমে প্রত্যেকেই তার দায়িত্ব কর্তব্য বুঝতে পারে সাথে ওহীর মালিকের প্রশংসাও করে থাকে। এদের মাঝে মানুষ ও ফেরেস্তাদের মত ১ জন নেতা পাঠানো হয়না যে প্রত্যেকের কাছে যেয়ে যেয়ে এই বাণী পৌছে দেয় বা পাঠকরে শোনায়। বরং এটা অাল্লাহর দেয়া হিকমতের মাধ্যমে বুঝতে পারে তারা। ঠিক একই রকম হিকমতের ওহী মানুষ ও ফেরেস্তাদের মাঝেও বিরাজমান। কিছু উধাহরণ দিলে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অামরা জানি ফেরেস্তাদেরকে অাল্লাহ কোন কাজের নির্দেশ দিতে ইচ্ছা করলে শুধু বিষয়টা উপস্থাপন করেন বাকী বিষয় সমূহ হিকমাহের মাধ্যমে ফেরেস্তারা বুঝে যায়, যেমন অাল্লাহ মানব সৃষ্টির ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ফেরেস্তাদের কাছে অার তারা বুঝে গিয়েছিল মানুষের প্রকৃতি কি হবে তাই তারা বলেছিল: আল-বাক়ারাহ 2:30 "স্মরণ কর, তোমার প্রতিপালক যখন ফেরেশতাদেরকে বললেন, ‘আমি যমীনে প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই, তারা বলল, ‘আপনি কি সেখানে এমন কাউকেও সৃষ্টি করবেন যে অশান্তি সৃষ্টি করবে ও রক্তপাত ঘটাবে? আমরাই তো আপনার প্রশংসামূলক তাসবীহ পাঠ ও পবিত্রতা ঘোষণা করি’। তিনি বললেন, ‘আমি যা জানি, তোমরা তা জান না’।"
    অাবার অাল্লাহ জীন জাতীকে ধ্বংশের জন্য ফেরেস্তাদের বলেছিলেন। তখন তারা শুধু জীনের ফুটফুটে শিশুর প্রতি দায়াদ্র হয়ে ছিলেন। যার পরিণাম ইবলিছ অামরা সবাই জানি। ঠিক তেমনই ইব্রাহিম (অা:)কে কিতাবে নয় স্বপ্নের মাধ্যমে কোরবানির নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি এই নির্দেশের সঠিক অবস্থা বুঝতে না পারলেও এক পর্যায়ে বুঝে যান। অার তিনি এমন কঠোর নির্দেশ পালন করলেন সকল দয়া মায়ার উর্ধে যেয়ে। যার কারণে তাকে অাল্লাহ মুসলিম জাতীর পিতা নির্বাচিত করলেন। এই নির্দেশ অাল্লাহর দেয়া কিতাবের নির্দেশ ছিলনা। মানুষ হত্যার মত কঠোর নির্দেশ অাল্লাহ নবীগণকে কিতাবের ওহী ছারাও দিয়ে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে অাল্লাহ নিজেও চাননি ইসমাইল কোরবানি হোক। অাবার এমন কিছু কঠোর নির্দেশ পালনে বিলম্ব করায় মুহাম্মদ (সা:) বেশ কয়েকবার অাল্লাহর কাছে তিরষ্কৃতও হয়েছেন। তবে তিনি এই দয়া নিজের জন্য নয় বরং সকল মানব জাতীর জন্য দেখিছেন। তাই বলব এই হিকমাহের ভুল গুলো মুহাম্মদ (সা:) একাই করেন নি এমন এক জাতীয়ও করেছিল যারা অাল্লাহর একটি নির্দেশও অমান্য করার ক্ষমতা রাখেনা অর্থাৎ মালাইকা বা ফেরেস্তাকুল। তবে এই ভুলগুলো সকল ক্ষেত্রেই মহানুভবতার চুরান্ত শিখরে সমাসিন হয়েছে। এই ভুলের ফলেই পূর্নরুপে প্রমাণীত হয়েছে মুহাম্মদ (সা:) সকলের জন্য রহমত। নিজের জীবনের দুঃমনের জানাযার দোয়া পরতে চেয়েছিলেন মুহাম্মদ (সা:)। ঠিক তেমনই ফেরেস্তাদের বেলায়ও একই রকম হয়েছিল, ইবরাহিম (অা:) এর বেলায়ও। অাবার লুত (অা:) এর বেলায়ও তিনি চান নাই তার জাতী ধ্বংশ হোক যার ফলে ফেরেস্তাদের হঠাৎ অাগমন দেখে ভীত হয়ে পরেছিলেন অার ফেরেস্তারা বলেছিল এটা অাল্লাহর অনিবার্য নির্দেশ এ থেকে ফিরে যাওয়ার কোনই পথ নেই। কিন্তু বিষয়টা পূর্বেই কোন কিতাবে লেখা ছিলোনা কিন্তু অাল্লাহর এমন কোন নির্দেশ অাসছে তা লূত (অা:) হিকমতের ওহীর মাধ্যমে বুঝতে পেরেছিলেন যদিও ফেরেস্তাদের চেনার কোন উপায় ছিলোনা, কারণ তারা মানুষের বেশেই এসেছিল। এথেকে এটাই প্রমাণীত হয় বান্দর সাথে যোগাযোগ রক্ষার একটি বিশেষ মাধ্যম হিকমাহর ওহী যা কিতাবে লিপিবদ্ধ হয় না। কিন্তু নবীগণ সহ সকলের এই হিকমাহের ওহীর নির্দেশ পালন করা ফরজ যদি তা নবীগণের মুখদিয়ে ১ বার নির্দেশের অাকারে বেরহয়। নবী গণের মাধ্যমে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত তার কোন কার্যকারিতা শুরু হয় না। এই ওহি অনেকটা যাদু মন্ত্রের মত যার কর্মের কোন মাধ্যম দেখা যায় না শুধু সম্পাদিত কর্মটিই দেখাযায়। এই ওহী অাল্লাহ সৃষ্টির অন্তরে সরাসরি দিয়ে থাকেন যা ওহি অাদান প্রদানে নিযুক্ত কোন ফেরেস্তাও জানেন না। প্রতিটি মানুষ জীন ও ফেরেস্তার অন্তরেই হিকমতের ওহীর একটা ব্যাবস্থা রয়েছে। এটি শুধু কোন নবীগণের জন্য নয় অামাদের মত সাধারণ মানুষের অন্তরেও দিয়ে থাকেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে অাসা এমন বাণী সবার জন্য মান্য করা জরুরি নয়। এটি একটি উদাহরণ দিলেই স্পষ্ট হবে অাশাকরি। মনে করেন কোন ব্যাক্তি অাল্লাহর দেয়া সঠিক পথ পেতে চাইছেন কিন্তু কোনটা সঠিক তা মানুষের বিভিন্ন মতামতে অাচ্ছন্ন। নিজের পথটি সঠিক নাকি ওন্য কারোটি। এমত অবস্থায় লোকটি অাল্লাহর কাছে সাহায্য চাইছে সাথে সাথে বিভিন্ন মত পথের যাচাই বাছাই করছে সামনে অাছে প্রত্যেকের ধারালো যুক্তি। এমত অবাস্থায় কোনটি সঠিক তা বলেদেয়ার জন্য কোন কিতাব নাজীলের পথও বন্ধ। অার কারো কাছে গেলে সে নিজের চলা পথেই তাকে ডাকবে এটাই স্বাভাবিক। এখন সে যদি সত্যই সঠিক পথ পাওয়ার জন্য নিজের অন্তর ও ইচ্ছাশক্তিকে অাল্লাহর কাছে সপর্দকরে তবে অাল্লাহ তাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখাবেন। যদি না দেখান তবে সে যে পথেই থাকুক না কেন তা ভুল হলেও অাল্লাহর জন্য তাকে তিরষ্কৃত করাটা ঠিক হবে না বলে সকল সমাজেই স্বিকৃত পাবে বলে অাশা করি। এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট করা দরকার তা হল সাধারণ মানুষের কাছে এই ওহীও কি নবীদের মত স্বপ্নের মাধ্যমে অাসবে? উত্তর : না, এটি শুধু সাধারণ মানুষের অন্তরকে কোন পথের জন্য বাছাই করে দেয়া হয়, এবং সেই পথের জন্য তার রাস্তাকে সহজ করে দেয়া হয়। তবে এখানে কিছু শর্ত বিদ্যমান তা হচ্ছে তার চরিত্র, কাজ কর্ম, হালাল খাওয়া, হারাম বর্জন করা এবং পরিশুদ্ধ অন্তর তৈরি করা। যদি তার অন্তর নিজের পছন্দ করা পথের উপরই বেশি যুক্তি খোজে, নিজের সার্থ জরিত পথের উপর বেশি ঝোক থাকে, তার অন্তরে অপরাধ প্রবণতা বেশি থাকে তবে এমন অন্তরের জন্য অাল্লাহর হিকমাহের ওহী না অাসাটাই স্বাভাবিক। তবে এমন অন্তরের জন্য ২-য় অারেকটি ওহী অাসতে পারে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। কারণ শয়তান মানুষের অন্তরে অাল্লাহর দেয়া শক্তির মাধ্যমপ মন্ত্রের মত মন্ত্রনাদিতে সক্ষম। তাই এমন যাচাই বাছাই করা অর্থাৎ হিকমতের সাথে সঠিক পথ পাওয়াটাও নিজের অন্তরের উপর নির্ভরশীল। তাই কুরঅান এই অায়াতের কিছু অাগের অায়াতে বলে রেখেছেন বানু ইসরাঈল 17:36 "আর সে বিষয়ের পেছনে ছুটো না, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই। কান, চোখ আর অন্তর- এগুলোর সকল বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।"
    দেখেন এখানে অন্তরও জিজ্ঞাসিত হবে। তাই বলাযায় এমন প্রচ্ছন্ন বিষয়ের জন্য নিজের অন্তরকে অবশ্যই অাল্লাহর উপরই ছেরে দিতে হবে ওন্যথায় নিজের অন্তর অাল্লাহর জিজ্ঞাসাবাদে ধরাশাই হয়ে যাবে। তাই পরিশেষে বলাযায় হিকমাতের ওহীর জ্ঞান নবী রাসূলদের মত সাধারণ মানুষের জন্য এক নয়। তবে এটা নবীদের জন্য সর্ব যুগেই ছিল অার এটা কিতাবের ওহীর দ্বারাও প্রমাণীত। অার এখন অামাদের কিছু প্রচুর বোধসম্পন্ন গোষ্ঠির অাবির্ভাব হয়েছেন যারা নবুয়তের হিকমাহের ওহীকে পাত্তাই দেয়না। কারণ তারা অাল্লাহর কোন রুপ নির্দেশ ছাড়াই নবীদের চাইতেও বেশি বুঝতে পারে সকল বিষয়। কেন কোন অায়াত নাজীল করা হল, কেন হলেনা ইত্যাদি। যদিও গোষ্ঠিটির নিজেদের মধ্যেই প্রচুর মত পার্থক্য বিদ্যমান।

    # আল-আম্বিয়া 21:107
    আমি তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য পাঠিয়েছি কেবল রহমত হিসেবে। 

    ** প্রাপ্ত বিষয়: ওপরের অায়াতের গুলোর প্রেক্ষাপটে নিজের দুশমনের প্রতি উদারতাই প্রমাণ করে নবী (সা:) সকলের জন্যই সমান ভাবে রহমত।

    # আল-আনকাবূত 29:48
    তুমি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করনি, আর তুমি নিজ হাতে কোন কিতাব লেখওনি, এমন হলে মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষণ করত। 
    # আল-আনকাবূত 29:49
    বরং যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের অন্তরে তা সুস্পষ্ট নিদর্শন। আর যালিমরা ছাড়া আমার আয়াতসমূহকে কেউ অস্বীকার করে না।

    ** প্রাপ্ত বিষয়: এখানে অাবার প্রমাণ করা হল নবী (সা:) নিরক্ষর ছিলেন সে কুরঅানের অাগে কোন কিতাব পাঠ করেননি অার লিখার তো প্রশ্নই ওঠেনা। তাই কুরঅানের প্রতি সন্ধেহের কোন অবকাশ নেই। এমন নিরক্ষর লোকের পক্ষে এত প্রানজ্বল ভাষায়, বিজ্ঞান সম্মত, সত্য কিতাব লেখা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। বর্তমান বিজ্ঞান সম্মত কবিতা সনেটের চেয়েও অনেক উচ্চমানের বিজ্ঞান সম্মত ও গণীত নির্ভর কুরাঅান। এমন একজন নিরক্ষর লোকের মাধ্যেমে এত উন্নতমানের কিতাব পাঠ ও প্রতিষ্ঠার দ্বায়িত্ব একটি অাল্লাহর দেয়া মোজেজা। প্রতিটা নবীরই কিছু মোজেজা ছিল যেমন: নুহু (অা:) এর কিস্তি, সোলাইমান (অা:) এর উরন্ত সিংহাসন, মুসা (অা:) এর জাদুর লাঠি, ইসা (অা:) অন্ধ ও কুষ্ঠ রোগ চোখের সামনেই ভালো করতে পারতেন অাবার মাটির পাখিতে ফু দিয়ে জীবন্ত পাখিতে পরিনত করতে পারতেন। অার মুহাম্মদ (সা:) এর এমন কোন মোজেজা দেয়া হয়নি। তার মোজেজা কুরঅান। এর অারো প্রমান পাওয়া যাবে এই অায়াত গুলোতে - 
    * আল-ক়িয়ামাহ 75:16
    (এ সূরাহ অবতীর্ণ হওয়ার সময় আল্লাহর রসূল তা মুখস্থ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লে আল্লাহ অভয় দিয়ে বললেন) তুমি তাড়াতাড়ি ওয়াহী আয়ত্ত করার জন্য তোমার জিভ নাড়াবে না। 
    * আল-ক়িয়ামাহ 75:17
    এর সংরক্ষণ ও পড়ানোর দায়িত্ব আমারই। 
    * আল-ক়িয়ামাহ 75:18
    কাজেই আমি যখন তা পাঠ করি, তখন তুমি সে পাঠের অনুসরণ কর। 

    এথেকে প্রমাণ পাওয়া যায় কুরঅান নাজীলের সময় তিনি লিখে রাখতে পারতেন না যাতে পরে ধিরস্থীর ভাবে পড়ে মুখস্থ করে নিতে পারেন। তাই তিনি কারো সাথে কথা বলার অাগেই মুখস্থ করে নেয়ার জন্য মুখ নারাতে থাকতেন যেমন অামরা কোন পাঠ্য বিষয় মুখস্থ করে থাকি মুহুর মুহু মুখ নারানোর মাধ্যমে। কিন্তু অাশ্চার্যের বিষয় কুরঅান তার কাছে যে ভাবে নাজীল হত তা কোন রকম মুখস্থ করারর চেষ্টা ছারাই শুধু একবার নাজিলের সময় মোনযোগ দিয়ে শোনার মাধ্যমেই তার স্মৃতি পটে স্থায়ী হয়ে যেত দির্ঘদিনের জন্য। কিন্তু প্রতি বছর একবার জীবরাইল (অা:) তাকে পাঠ করিয়ে দিয়ে যেতেন যাতে তিনি ভুলে না যান। 

    * (সহিহ মুসলিম- ৫) আবদান (রহঃ) ও বিশর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। রমযানে তিনি আরো বেশী দানশীল হতেন, যখন জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন। আর রমযানের প্রতি রাতেই জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং তাঁরা পরস্পর কুরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রহমতের বাতাস থেকেও অধিক দানশীল ছিলেন।" 

    কিন্তু তার মৃত্যুর ২ বছর অাগ হতে ২ বার পাঠ করাতেন কারণ তার বয়সের ভারে স্মৃতি শক্তি দুর্বল হয়ে অাসছিল তাই। এভাবেই তার স্মৃতিতে কুরঅান সংরক্ষণ করেণ অাল্লাহ। অাবার নবী (সা:) কিছু সাহাবাদের নির্দেশ দিতেন অায়াত লিখে রাখতে যাতে এটার চর্চা ও সংরক্ষণ সকলের মাঝে ছরিয়ে পরে। কিন্তু কিছু লোক তার এই মোজেজা সম্পর্কে অকেফহাল ছিলোনা। তারা দাবী জানাচ্ছিল এটা মুহম্মদের (সা:) নিজের লেখা। তাই অাল্লাহ তাদের উদ্দেশ্যে এই অায়াতের মাধ্যমে স্মরণ করিয়ে দিলেন যে মুহাম্মদ (সা:) তো পরতে ও লিখতেই পারেনা সে কিভাবে এমন কিতাব রচনা করবে। এই অায়াতের সমর্থনে সর্বশেষ তার লিখতে পড়তে না পারার প্রমাণ হিসাবে একটি হাদিস পেশ করব- (সহিহ বুখারি-৩) "ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সর্বপ্রথম যে ওহী আসে, তা ছিল ঘুমের মধ্যে সত্য স্বপ্নরূপে। যে স্বপ্নই তিনি দেখতেন তা একেবারে ভোরের আলোর ন্যায় প্রকাশ পেত। তারপর তাঁর কাছে নির্জনতা প্রিয় হয়ে পড়ে এবং তিনি হেরা'র গুহায় নির্জনে থাকতেন। আপন পরিবারের কাছে ফিরে আসা এবং কিছু খাদ্যসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে যাওয়া এইভাবে সেখানে তিনি একাধারে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে নিমগ্ন থাকতেন।
    তারপর খাদীজা (রাঃ)-এর কাছে ফিরে এসে আবার অনুরূপ সময়ের জন্য কিছু খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতেন। এমনিভাবে হেরা’ গুহায় অবস্থানকালে একদিন তাঁর কাছে ওহী এলো। তাঁর কাছে ফিরিশতা এসে বললেন, পড়ুন’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “আমি বললাম, আমি পড়িনা’। তিনি বলেনঃ তারপর তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হল। তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পড়ুন’। আমি বললামঃ আমিতো পড়তে পারি না। তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে জড়িয়ে ধরে এমন ভাবে চাপ দিলেন যে, আমার অত্যন্ত কষ্ট হল। এরপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেনঃ পড়ুন’। আমি জবাব দিলাম, আমিতো পড়িনা’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারপর তৃতীয়বার তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে চাপ দিলেন। এরপর ছেড়ে দিয়ে বললেন, “পড়ুন আপনার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন মানুষকে আলাক থেকে। পড়ুন আর আপনার রব্ মহামহিমান্বিত। ” (৯৬: ১-৩)

    তারপর এ আয়াত নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এলেন। তাঁর অন্তর তখন কাঁপছিল। তিনি খাদীজা বিন্‌ত খুওয়ালিদের কাছে এসে বললেন, আমাকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দাও, আমাকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দাও। ’ তাঁরা তাঁকে চাঁদর দিয়ে ঢেকে দিলেন। অবশেষে তাঁর ভয় দূর হল। তখন তিনি খাদীজা (রাঃ) এর কাছে সকল ঘটনা জানিয়ে তাঁকে বললেন, আমি নিজের উপর আশংকা বোধ করছি। খাদীজা (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্‌র কসম, কক্ষনো না। আল্লাহ্ আপনাকে কক্ষনো অপমানিত করবেন না। আপনিতো আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন, অসহায় দুর্বলের দায়িত্ব বহন করেন, নিঃস্বকে সাহায্য করেন, মেহমানের মেহমানদারী করেন এবং দুর্দশাগ্রস্তকে সাহায্য করেন। এরপর তাঁকে নিয়ে খাদীজা (রাঃ) তাঁর চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবনু নাওফিল ইবনু আবদুল আসা’দ ইবনু আবদুল উযযার কাছে গেলেন, যিনি জাহিলী যুগে ঈসায়ী ’ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইবরানী ভাষা লিখতে জানতেন এবং আল্লাহ্‌র তওফীক অনুযায়ী ইবরানী ভাষায় ইনজীল থেকে অনুবাদ করতেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বয়োবৃদ্ধ এবং অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খাদীজা (রাঃ) তাঁকে বললেন, হে চাচাতো ভাই! আপনার ভাতিজার কথা শুনুন। ’ ওয়ারাকা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাতিজা! তুমি কী দেখ?’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা দেখেছিলেন, সবই খুলে বললেন। তখন ওয়ারাকা তাঁকে বললেন, ইনি সে দূত যাঁকে আল্লাহ্ মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে পাঠিয়েছিলেন। আফসোস! আমি যদি সেদিন যুবক থাকতাম। আফসোস! আমি যদি সেদিন জীবিত থাকতাম, যেদিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে। ’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাঁরা কি আমাকে বের করে দিবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অতীতে যিনই তোমার মত কিছু নিয়ে এসেছেন তাঁর সঙ্গেই শত্রুতা করা হয়েছে। সেদিন যদি আমি থাকি, তবে তোমাকে প্রবলভাবে সাহায্য করব। ’ এর কিছুদিন পর ওয়ারাকা (রাঃ) ইন্তেকাল করেন। আর ওহী স্থগিত থাকে। 
    ইবনু শিহাব (রাঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রাঃ) ওহী স্থগিত হওয়া প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ একদা আমি হেঁটে চলেছি, হঠাৎ আকাশ থেকে একটি আওয়াজ শুনতে পেয়ে চোখ তুলে তাকালাম। দেখলাম, সেই ফিরিশতা, যিনি হেরায় আমার কাছে এসেছিলেন, আসমান ও যমিনের মাঝখানে একটি কুরসীতে বসে আছেন। এতে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তৎক্ষণাৎ আমি ফিরে এসে বললাম, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর, আমাকে বস্ত্রাবৃত কর। তারপর আল্লাহ তা'আলা নাযিল করলেন, "হে বস্ত্রাচ্ছাদিত! উঠুন, সতর্কবানী প্রচার করুন এবং আপনার রবের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করুন। আপনার পোশাক পবিত্র রাখুন। অপবিত্রতা থেকে দূরে থাকুন (৭৪: ১-৪)। এরপর ব্যাপকভাবে পর পর ওহী নাযিল হতে লাগল। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ও আবূ সালেহ (রহঃ) অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। হেলাল ইবনু রাদদাদ (রহঃ) যুহরী (রহঃ) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। ইউনুস ও মা'মার - স্থলে শব্দ উল্লেখ করেছেন।"

    # আল-আহযাব 33:21
    তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের আশা রাখে আর আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে। 

    ** প্রাপ্ত বিষয়: এখানে অারো স্পষ্ট করে বলাহচ্ছে যারা অাল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে ও শেষ বিচারের দিন অাল্লাহর করুণার অাশাকরে এবং শুধু তাই নয় যারা অাল্লাহর ঈবাদাতেও অধিক অগ্রসর তাদের অাদর্শ নবী (সা:) এর জীবনির মধ্যে রয়েছে। নবী (সা:) এর ব্যাক্তি সত্যার কথা বলাহচ্ছে। এখানে কিন্তু কুরঅানের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়নি। বলা হয়নি কিতাবের মধ্যে উত্তম অাদর্শ রয়েছে। বস্তুত কোন কিতাবের মধ্যে উত্তম অাদর্শ থাকতেও পারে না। অাদর্শ মূলত অাদর্শ বানের কাছেই থাকা বান্চনিয়। নবী (সা:) এর কুরঅানের অালোকে দৈনন্দিন চলাফেরা, ওঠাবসা, কাজকর্ম ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে শুধু তাই নয় বরং তার সমগ্র জীবনের প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে। তার নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বেও এমন অাদর্শ বিদ্যমান ছিলো। তবে এর অাগের অালোচনাতে উঠে এসেছে নবী (সা:) এর কোন কাজ কুরঅানের অায়াতের বিপক্ষে যায় তবে তা বর্জনীয় হবে কিন্তু সব কাজ নয়। কারণ নবুয়ত একটি বংশিয় ধারা। যে বংশ গুলোকে অাল্লাহ বাছাই করে নিয়েছেন মানব জাতীর অাদর্শ করার জন্য। অার নবী (সা:) তো সকল জাতীর জন্য রহমত। তাই তার জীবনীতে এমন কোন কুকর্ম নেই যা নিন্দনীয় হতে পারে। তবে কিছু ভুল হতে পারে কারণ নবী (সা:) অাল্লাহর সমতুল্য নয় বরং তার পছন্দের গোলাম। তবে তার সকল ভুল গুলোর দ্বারাই প্রমাণীত হয় তিনি সমগ্র বিশ্ববাশীর জন্য রহমত যার সাক্ষি কুরঅান নিজেই দিচ্ছে। তাই বলা যায় নবী (সা:) এর নবুয়ত প্রাপ্তির পরেও ভুল হয়েছে অার পূর্বেও, তার দুটো জীবনের কোনটাতেই কলঙ্কজনক ঘটনা নেই উভয় জীবনেই সমান মর্যাদার দাবী রাখে। অার কুরঅান ও বলছে নবীর নবুয়ত পরবর্তী জীবন নয় বরং সম্পুর্ণ জীবনীতেই উত্তম অাদর্শ বিদ্যমান। তার কোন একটি জীবনকে অবমূল্যায়ন করা অাল্লাহকে অবমূল্যাণ করার সামিল। কারণ অাল্লাহ এমন একজন সত্তা যে মানুষের মত ব্যাক্তি মূল্যায়নে ভুল করেন না। মানুষ যেমন কোন কাজের জন্য ব্যাক্তি বাছাই করে প্রশিক্ষণের পর তাকে কাজে নিয়োগ করন। অাল্লাহ ঠিক তার উল্ট। অাল্লাহর নির্বাচিত বান্দাগণ নবুয়তের সত্য পথ পাওয়ার অাগেই তাদের অন্তর সত্য পথ ছারা সকল পথের বিরধিতা করেন। যেমন মূর্তী নির্মাণ ও পুজক কাজে নিয়জীত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেও নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে নবীগণ তা মেনেনিতে পারতেন না। পরিশেষে বলাযায় নবীগণ অাল্লাহর পূর্ব নির্ধারীত ব্যাক্তি হয়ে থাকেন। তা